ব্যাকরণ
পরিচচ্ছেদ-১
১. ধ্বনি তৈরি হয়- গলনালি, মখবিবর, কন্ঠ, জিভ, তালু, দাঁত, নাক প্রভৃতি প্রত্যঙ্গ দিয়ে।
২. মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হচ্ছে ভাষা।
৩. এক বা একাধিক ধ্বনি নিয়ে তৈরি হয় শব্দ।
৪. বাক্য দিয়ে মানুষ মনের ভাব আদান-প্রদান করে।
৫. বাঙালি জনগোষ্ঠী যে ভাষা দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করে তাকে ভাষা বলে।
৬. বাংলা ভাষায় কথা বলে প্রায় ত্রিশ কোটি মানুষ।
৭. বাংলাদেশে ষোল কোটি।
৮. ভারতের পশ্চিমে বঙ্গে দশ কোটি।
৯. ত্রিপুরা, আসাম, বিহার ঝাড়খন্ড, ওড়িশাস সহ ভারতের অন্যান্য প্রদেশে প্রায় তিন কোটি।
১০. পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এক কোটি।
১১. মাতৃভাষী মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে বাংলা পৃথিবীর ৬ষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা।
১২. বাংলা ভাষাও ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের সদস্য।
১৩. বাংলা ভাষার নিকটতম আত্মীয় অহমিয়া ও ওড়িয়া।
১৪. ধ্রুপদি ভাষা হিসেবে স্বীকৃত-সংস্কৃত এবং পালির।
১৫. বাংলা ভাষার সাথে ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক রয়েছে- সংস্কৃত এবং পালির।
১৬. ইন্দো-ইউরোপীয়= ইন্দো-ইরানীয় = ভারতীয় আর্য = প্রাকৃত = বাংলা।
১৭. বাংলা ভাষার প্রাচীন নিদর্শন ‘চর্যাপদ “
১৮. আঞ্চলিক ভাষার অপর নাম --- উপভাষা
১৯. বাংলা ভাষার রয়েছে কালগত ও স্থানগত স্বাতন্ত্র্য
২০. বাংলা ভাষার নিজস্ব লিপি বাংলা লিপি।
২১.বাংলা লিপিতে মূল বর্ণের সংখ্যা ৫০টি।
২২. স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জণবর্ণ ৩৯টি।
২৩. প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে উপমহাদেশে ব্রাহ্মী লিপির জন্ম হয়।
২৪. ব্রাহ্মী লিপির পূর্ব -ভারতীয় শাখা দশম শতক নাগাদ কুটিল লিপি নামে পরিচিতি লাভ করে।
২৫. পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা প্রদেশে অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা বাংলা।
পরিচ্ছেদ-২
১. যে বিদ্যাশাখায় বাংলা ভাষার স্বরুপ ও প্রকৃতি বরাণনা করা হয় তাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।
২. প্রথম বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত হয় পর্তুগিজ ভাষায়।
৩. প্রথম বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত হয়-১৭৪৩ সালে।
৪.প্রথম বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত করেন- ম্যানোএল দা আসসুম্পসাঁউ
৫. ইংরেজি ভাষায় বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত হয় ১৭৭৮ সালে।
৬. ইংরেজি ভাষায় বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত করেন নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড।
৭. ইংরেজি ভাষায় বাংলা ব্যাকরণের নাম দেন ‘‘এ গ্রামার অব দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ”।
৮. ইংরেজি ভাষায় বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন উইলিয়াম কেরি ১৮০১ সালে এবং রামমোহন রায় ১৮২৬ সালে।
৯. বাংলা ভাষায় প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন রামমোহন রায়।
১০ বাংলা ভাষায় প্রথম বাংলা ব্যাকরণের নাম- ‘‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ”
১১.ভাষা হলো বাক্যের সমষ্টি।
১২. বাক্য গঠিত হয় শব্দ দিয়ে।
১৩. শব্দ তৈরি হয় ধ্বনি দিয়ে।
১৪. ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় ৪টি।যেমনঃ ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব, ও অর্থতত্ত্ব
১৫. ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় ধ্বনি।
১৬. ধ্বনিতত্ত্বের মূল আলোচ্য বিষয় গুলো বাগযন্ত্র, বাগযন্ত্রের উচ্চারণ প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ঠ্য, ধ্বনিদল।
১৭. রূপতত্ত্বে শব্দ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
১৮. রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় গুলো হলো- বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ
১৯. রূপতত্ত্বে বিশেষ গুরুত্ব পায় শব্দগঠন প্রক্রিয়া।
২০. বাক্যতত্ত্বে বাক্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।
২১. বাক্যতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় -বাক্য রুপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি, কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ যতিচিহ্ন ইত্যাদি।
২২. ব্যাকরণের যে অংশে শব্দ, বর্গ, ও বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয় সেই অংশ নাম অর্থতত্ত্ব। এক বাগর্থতত্ত্ব বলা হয়।ৎ
২৩. অর্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়- বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দজোড়, বাগধারা ইত্যাদি।
পরিচ্ছে-৪
১. ধনী উচ্চারণ করতে যেসব প্রতঙ্গ কাজে লাগে, সেগুলোকে একত্রে বাগযন্ত্র বলে।
২. বাগযন্ত্র গুলো হলঃ, ফুসফুস, শ্বাসনালী স্বরযন্ত্র, জিভ,আলজিভ, তালু, মুর্ধা, দন্তমূল ও দন্ত ওষ্ঠ, নাসিকা
৩. ফুসফুস শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করে।
৪. ফুসফুস থেকে বাতাস শ্বাসনালি হবয় মুখবিবর ও নাসারন্ধ্র দিয়ে বের হয়।
৫. শ্বাসনালির উপরের অংশের নাম স্বরযন্ত্র।]
৬. মুখগহ্বরের নিচের অংশে জিভের অবস্থান।
৭. মুখ গহব্বরের কোমল তালুর পিছনে ঝুলন্ত মাংসপিন্ডের নাম আলজিভ।
৮. মুখ বিবরের ছাদকে বলা হয় তালু।
৯. শক্ততালু ও উপরের পার্টির দাঁতের মধ্যবর্তী উত্তল অংশকে মূর্ধা বলা হয়।
১০. দাঁতের গোড়ার নাম দন্তমূল।
১১. বাক পতঙ্গের সবচেয়ে বাইরের অংশের নাম ওষ্ঠ বা ঠোঁট।
১২. মুখ গহব্বরের পাশাপাশি নাসিকা বা নাকের ছিদ্র দিয়ে বাতাস বের হয়েও ধ্বনি উৎপন্ন হয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url