বাচ্চাদের রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন

বাচ্চাদের রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা সর্ম্পকে অনেক খুঁজাখুঁজি করছেন।আজকে এই আর্টিকেলের মূল কথা বাচ্চাদের রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা । আপনারা যদি এই বিষয় সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে জান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রিয় দর্শক কলা খাওয়ার উপকারিতা, রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা, পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

কলা আমাদের একটি অতি পরিচিত ফল এবং এটি খুব সহজে পাওয়া যায়। আমাদের প্রতিদিনের খাবারে কলা থাকে। কিন্তু আমরা জানি না কলা কত উপকারী। প্রতিদিন কলা খেলে স্বাস্থ্যভালো থাকে। কলায় রয়েছে শর্করা, ভিটামিন এ, বি, সি এবং ক্যালসিযাম, লৌহ । এই ফল সারা বছর পাওয়া যায় এবং এর দাম ও অনেক কম। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিশেষ করে বাংলাদেশ, আসাম ও ইন্দো চীন কলার উৎপত্তি স্থান। এছাড়াও নরসিংদী, গাজীপুর, বগুড়া, যশোর, চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহ,রাঙামাটি, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম,, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, জেলায় সবচেয়ে বেশি কলা উৎপন্ন হয়। কলা একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল। এটি শরীরের ক্ষয়পূরণ, পুষ্টিসাধন,বিভিন্নর ধরনের রাগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাকা কলা একদিকে যেমন পুষ্টিগুণে বরপুর অন্য দিকে মহা ঔষধি গুণে গুণাণ্বিত। এটি কিডন,শুষ্ক কাশি কলেরা রোগীর ক্ষেত্রে , রক্ত বমি ক্ষেত্রে কার‌্যাকারী ভূমিকা রাখে।

কলা গাছ

পুষ্টিতে ও গুনে অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল হচ্ছে কলা। কলার চাষ ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের সারা ফেলেছে। কারণ এ কলা অতি সহজে ক্রয় করা যায় এবং হাতের নাগালেই সবকিছুই পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের কলা পাওয়া যায় এবং বারি কলায় এক বারি কলা ২ বারি কলা ৩ বারি কলা চার যা প্রায় সারা বছরই এ কলাগুলো পাওয়া যায়।

তবে কলা গাছ বেশি রোপন করা হয় শীত ও বর্ষাকালে। তবে কলা গাছ সবচাইতে ভালো রোপন করা হয় বর্ষাকালে। কলা গাছ রোপনের জন্য ২০ দিন আগে থেকেই গর্ত করে রাখতে হয়। তবে গর্তের আকার হতে হবে ৮ ঘনফুট। চারদিকে সমান আকারে থাকতে হবে। সে গর্তে কিছু পরিমাণে জৈব সার টি এস পি এমওপি ইউরিয়া জিপসাম ইত্যাদি সার মেশাতে হবে। গর্তে যে কলাগাছটি লাগানো হবে সেটি অবশ্যই যেন সতেজ হয়। গর্তে কি পরিমান সার দিতে হয় উল্লেখ করা হলো

সারের নাম

সারের পরিমাণ

প্রয়োগ পদ্ধতি

জৈব সার

১০-১৫ কেজি

পচা গোবর, টিএসপি ও জিপসামের ৫০% জমি তৈরীর শেষ চাষের সময় এবং অবশিষ্ট গোবর, টিএসপি, জিপসাম ও পটাশের ২৫% গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। রোপণের দেড় থেকে দুই মাস পর ২৫% ইউরিয়া এবং ২৫% পটাশ মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। এর দুই মাস পর পর গাছপ্রতি ৫০ গ্রাম পটাশ ও ৭৫ গ্রাম ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে। ফুল আসার পর এর পরিমাণ দ্বিগুন করতে হবে।

টিএসপি

৩০০ গ্রাম

এমওপি

৫০০ গ্রাম

ইউরিয়া

৪০০-৫০০ গ্রাম

জিপসাম

১৫০-২০০ গ্রাম

এভাবে সার দিয়ে করা গাছ লােগানো হয়। প্রতিটি বাসায় কলা গাছ লাগানো উচিত। কারণ এই গাছের ফল আমাদের অনেক উপকার করে।

কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা খাওয়ারবেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। কলা শরীরের স্বাস্থ্য উন্নতি ছাড়াও চাপ মস্তিষ্ককে ভালো রাখতে কলা খুবই উপকারী। আমাদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কলা রাখা দরকার।কারণ এতে আমাদের শরীরের ফিটনেস ভালো রাখে। কলায় যে সকল উপকারিত রয়েছে তা হলো
ভিটামিন বি সিক্সঃ ভিটামিন বি সিক্স এর অন্যতম উৎস হচ্ছে কলা। এই ভিটামিন মস্তিষ্কের বিকাশ গড়ায় এবং কার্যক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখ। তাই প্রত্যেকদিন খাবারের তালিকায় কলা রাখা উচিত।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরঃ তাই মানুষের প্রচলিত সমস্যা হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য । এ কষ্টকাঠিন্যর কারণে মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

হজমে সহায়তা করাঃ কলাতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি সিড যা হজমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খাবারের পচনতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

হার্টকে সুস্থ রাখেঃ কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম জাতীয় পদার্থ। যা স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখে এবং কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ফলে হৃদরোগের ঝঁকি কমায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ যেহেতু পালাতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে কলা খেলে দেহের ওজন হ্রাস পায়।

চোখকে ভালো রাখেঃ যেহেতু কলাতে রয়েছে ভিটামিন এ। আর ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন কলা খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

ত্বকের যত্নঃ কলাতে রয়েছে ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বককে মসৃণ রাখে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

রক্তচাপ কমাতেঃ কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম শরীরে রক্তচাপ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

ক্যান্সারঃ কলাতে পাওয়া যায় লেকটিন নামক প্রোটিন। লেকটিন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ গুলোকে ধ্বংস করে।

কলার পুষ্টিগুণ

কলার বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে। কলাতে রয়েছে ভিটামিন এ বি সি, ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি। তাই কলার পুষ্টিগুণ ও অনেক।
  • দেহের শক্তি জোগানোর অন্যতম উৎস হচ্ছে কলা। যারা শারীরিক ব্যায়াম করে তাদের কলা খাওয়া উচিত।
  • কলা তো রয়েছে অ্যামাইনো এসিড যা আমাদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • কলা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কলার ভূমিকা অপরিসীম।
  • কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা আমাদের দেহে রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখেন
  • দেহের গর্ভবতী নারীদের জন্য কলা খুবই উপকারী। প্রতিদিন সকালে কলা খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।
  • হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করার ক্ষেত্রে কলা অপরিসীম।

কলা খাওয়ার অপকারিতা

কলা খাওয়ার কিছু উপকারিতা থাকলেও এর অপকারিতা কম নয়। কলা খাওয়ার সময় বেশ কিছু সর্তকতা অবলম্বন করে খেতে হবে।
  • বেশি পরিমাণে কলা খেলে অনিদ্রার হতে পারে।
  • যদি প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা লাগে তাহলে কলা না খাওয়াই ভালো।
  • যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা তাদের কলা না খাওয়াই ভালো। কারণ বেশি পরিমাণে কলা খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যায়।
  • যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের কলা খাওয়া উচিত নয়।
  • বেশি পরিমাণে কলা খেলে দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়।
  • বেশি পরিমাণে কলা খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • বেশি করে কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

রাতে শোয়ার আগে কলা খেলে বেশ কিছু উপকারিতাও রয়েছে। যাদের হজমে সমস্যা হয় তাদের জন্য খুবই উপকারী। কারণ কলা হজমের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তবে বেশি পরিমাণে কলা খাওয়া মোটেই উচিত নয়। বেশি মনে হয় কলা খেলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থেকে যায়। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে একটি করে কলা খেলে ঘুম ভালো হয় হজম শক্তিও বৃদ্ধি পায়।

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা

আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে শারীরিক কাজের জন্য বাইরে বের হই। বাইরে বের হওয়ার আগেই আমরা যদি খালি পেটে একটি করে কলা খাই তাহলে শরীরের শক্তি যোগান দেই। কারণ কলাতে থাকা কার্বোহাইড্রো দেহ শক্তি যোগাতে ভূমিকা রাখে। যাদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কলা খেলে কলাতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখেন। কলাতে থাকা ফাইবার যা আমাদের কষ্টকাঠিন্য দূর করে।

কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা

কাঁঠালি কলা খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা ও রয়েছে কারণ কাঁঠালী করাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের পাকস্থলী হজমের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ফলে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে। কাঁঠালি কলায় ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এতে রক্তের শর্করা ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বৃদ্ধি করে। যাদের ঘন ঘন পায়খানা হয় তাদের জন্য কাঁঠালি কলা খুবই উপকারী।

পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম

কলা পাকলেই ফ্রুট স ও ফাইবারে পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই পাকা কলা প্রতিদিন একটি করে খেলে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সহায়ক ভূমিকা রাখে। আর যদি প্রতিদিন নিয়মমাফিক পাকা কলা খায় তাহলে রক্তচাপের পরিমাণ হ্রাস পায় কষ্টকাঠিন্য সমস্যা রোধ করা যায়। তাই আমাদের প্রতিদিন সকালে পাকা কলা খাওয়া উচিত।

দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা

আমরা অনেকেই দুধের সাথে কলা মিক্স করে খেতে খুব পছন্দ করি। দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা থাকলেও এর ক্ষতির দিক দিয়ে সবচাইতে বেশি। আমরা জানি কলা আমাদের হজমের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে কিন্তু দুধ কলা হজমের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখেনা।

দুধ ও কলা একসঙ্গে খেলে দেহে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি সৃষ্টি হয় ফলে আমাদের ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। আমরা যদি একটি কলা সঙ্গে যদি এক কাপ দুধ মিস করে খায় তাহলে আমাদের দেহে প্রায় ৯০০ ক্যালোরি শক্তি উৎপন্ন হয়। আমাদের খাবারের যদি দুধ ও কলা একসঙ্গে রাখে তাহলে দেহের ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করে ব্রণ হওয়া সম্ভাবনা কম থাকে।

কলা খাওয়ার সঠিক সময়

আসলে কলা খাওয়ার সঠিক কোন নিয়ম নেই । তবে সবচাইতে ভালো সময় হচ্ছে সকাল বেলা খালি পেটে খাওয়া। সকাল বেলা খালি পেটে কলা খেলে দেহের এনার্জি বৃদ্ধি পায় ।বিভিন্ন সমস্যা ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত

কলা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। আমরা যদি প্রতিদিন এক থেকে দুইটি করে কলা খেয়ে থাকে তাহলে আমাদের দেহ সুস্থ ও সরল থাকে। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাবারে একটি থেকে দুটি কলা রাখা উচিত।

বাচ্চাদের রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলাতে থাকা পটাশিয়াম রাতে ঘুমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে। একটা বাচ্চাকে যদি প্রত্যেকদিন রাতে ঘুমানোর আগে কলা খাওয়ানো হয় তাহলে ঘুম ভালো হয়। কারণ কলাতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তাই বাচ্চাকে রাতে ঘুমানোর আগে কলা খাওয়ানো উচিত। প্রতিদিন কলা খেলে দেহের হরমোন পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ফলে ঘুমের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রাখে। তবে সাবধান থাকতে হবে বাচ্চার যদি শ্বাসকষ্ট থাকে তবে রাতে কলা খাওয়া মোটেই উচিত নয়। তার পাশাপাশি যদি সর্দি লেগে থাকে সেক্ষেত্রেও কলা খাওয়া উচিত নয়।

লেখক এর মতামত

আপনাদের সামনে কলার বিভিন্ন উপকারিতা অপকারিতা রাতে কলা খেলে কি হয় দুধের সাথে কলা খেলে কি হয় কোন কোন সময় কলা খেতে হবে প্রতিদিন কয়টা করে কলা খাওয়া উচিত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছি এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে একটি কমেন্ট এবং শেয়ার করে দেবেন।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url