খাদ্য উপাদানের প্রধান কাজ কি সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন
আপনারা হয়তো অনেকেই খাদ্যের উপাদান এর প্রধান কাজ কি সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে এ আর্টিকেল এর মূল কথা হচ্ছে খাদ্যের উপাদানের প্রধান কাজ কি সেই সম্পর্কে। আপনারা যদি এ আর্টিকেলটি সম্পন্ন করেন তাহলে খাদ্য সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক উপরোক্ত বিষয় ছাড়াও রয়েছে সুষম খাদ্য কি সুষম খাদ্যের তালিকা বা খাদ্য আমাদের কি কি উপকার করে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।
ভূমিকা
জীবন ধরার জন্য খাদ্য যেমন অপরিহার্য ্স তেমনি সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর অসীম খাদ্যের প্রয়োজন হয়ে তাপ এবং শক্তি তৈরি করেন চলাফেরা খেলাধুলা ইত্যাদি সরকারের শক্তি প্রয়োজন আমরা এই শক্তি পায় খাদ্য হতে। জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে খাদ্যের গুরুত্ব অপরিহার্য। খাদ্যেয় দেহের পুষ্টি সাধন দেড় ক্ষয় পূরণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মশক্তি ও তাপস এর ক্ষেত্রে কার্যকরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেসব বস্তু খাওয়ার পর দের শোষিত হয়ে বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করে তাকে বলা হয় খাদ্য।
স্নেহ জাতীয় খাদ্য তালিকা
চর্বি একটি প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান। । কারণ হাইড্রোজেন অক্সিজেন দিয়ে তৈরি এ উপাদানটি মুখ্য কাজ হল তাপ উৎপাদন করা। এই উপাদানটি পাকস্থলীতে অনেকক্ষণ থাকে তাই তখন ক্ষুধা পায় না। তাছাড়া বিভিন্ন অঙ্গ যেমন যকৃত মস্তিষ্ক মাংস পেশিত হওয়া জমা থাকে। দেহের এর সঞ্চিত চর্বি উপবাসের সময় কাজে লাগে।
শর্করা ও আমেজ তুলনায় চর্বিতে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে ক্যালরি থাকে। ক্যালরি হচ্ছে প্রাণীদেহের শক্তি মাপার একটি একক খাবার তেল ঘি দিয়ে রান্না করা খাবারও সুস্বাদু হয় সঙ্গে এর পুষ্টি মান বেড়ে যায় যেমন সিদ্ধ আলুর চেয়ে ভাজা আলু রুটির চেয়ে লুচি পড়াটা শুধু মুখরাচকি নয় এতে ক্যালরি ও বেশি পাওয়া যায়। উচ্চ অনুযায়ী স্নেহ পদার্থ দুই ধরনের । যেমন ,(১)উদ্ভিজ্জ স্নেহপদার্থ (২) প্রাণিজ স্নেহপদার্থ।
উদ্ভিজ্জ স্নেহ পদার্থঃ সয়াবিন তেল সরিষা তেল বাদাম সূর্যমুখী এবং ভুট্টার তেল হিসেবে ব্যবহার করা হয় ভোজ্য তেলের মধ্যে সয়াবিন তেল সবচেয়ে উত্তম।
প্রাণীর স্নেহ পদার্থঃ চর্বি ঘির ডালটা ইত্যাদি প্রাণীর স্নেহ পদার্থ। ডিমের কুসুমে স্নেহ পদার্থ আছে কিন্তু সাদা অংশ স্নেহ পদার্থ থাকে না। স্নেহ পদার্থ পানিতে অদ্রবণীয়। একজন সুস্থ সবল পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির জন্য ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম চর্বির প্রয়োজন হয়।
খাদ্য উপাদানের প্রধান কাজ কি
আপনারা হয়তো অনেকেই জানতে চেয়েছেন খাদ্য উপাদানের প্রধান কাজ কি? খাদ্য উপাদানের প্রধান কাজ হল দেহকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত করে। এমনকি দেহের বিভিন্ন রোগ জীবাণু থেকে রক্ষাও করে। সঠিক পরিমাণে খাদ্য দেহে বিভিন্ন বিভাগীয় কাজে অংশগ্রহণ করে। এক এক ভিটামিনের কাজ একেক রকম খাদ্যের উপাদানের মধ্যে রয়েছে আমাদের ছয়টি উপাদান যা আমাদের দেহের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকে। তার খাদ্য উপাদানের প্রধান কাজ হচ্ছে দেহকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম করা।
খাদ্য ও পুষ্টি তালিকা
ছয় থেকে বারো মাসের শিশুর দৈনিক খাদ্য
১- ৩ বছরের শিশুর দৈনিক খাদ্য
১৮ বছরের খাদ্য তালিকা
একজন 18 বছর বয়সের ব্যক্তির দৈনন্দিন খাদ্যে চাহিদা রয়েছেন প্রচুর পরিমানে। কারণ একজন 18 বছর বয়সের ব্যক্তি প্রতিদিন তাকে শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় তার দেহের ক্যালরির চাহিদা পূরণ করার জন্য খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। একজন 18 বছর বয়সে ব্যক্তির দৈনন্দিন যে সকল খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন তার একটি তালিকা দেওয়া হোক
বয়স্ক মানুষের খাদ্য তালিকা
একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির জন্য কতটুকু খাদ্য প্রয়োজন তা নির্ভর করে তার শারীরিক পরিশ্রমের উপরে। যে যেমন শারীরিক পরিশ্রম করবে তার খাদ্য চাহিদা ঠিক তেমনি হবে। ৬০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন খাদ্য প্রয়োজন ২৮০০ কিলো ক্যালরি। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্যালরি প্রয়োজন ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ আসে কার্বোহাইড্রোট থেকে এবং ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ স্নেহ ও বাকিগুলো প্রোটিন থেকে নেওয়া হয়। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক যে সকল খাদ্য প্রয়োজন তার একটি তালিকা দেওয়া হলো
খাদ্য উপাদান কয়টি
খাদ্যের উপাদান ছয়টা। আমিষ, শর্করা, স্নেহ ও চর্বি জাতীয় খাদ্য, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি। খাদ্যের এই ছয়টি উপাদানের কাজগুলো হলোঃ
আমিষঃ আমিষ জাতীয় খাদ্য দেহের বৃদ্ধি সাধন এবং ক্ষয় পূরণ করে।
শর্করাঃ সরকারি জাতীয় খাদ্য দেহের তাপ শক্তি উৎপাদন সহায়তা করে।
স্নেহ ও চর্বি জাতীয় খাদ্যঃ খাদ্যের 6 টি উপাদানের মধ্যে স্নেহ ও চর্বি জাতীয় খাদ্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। এ জাতীয় খাদ্য দেহের তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে।
ভিটামিনঃ ভিটামিন আছে এমন এক ধরনের খাদ্যের উপাদান যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
খনিজ লবণঃ দেহের বিভিন্ন যৌগিক কাজের জন্য খনিজ লবণ খুবই উপকারী।
পানিঃ দেহে পানি এবং তাদের সমতা রক্ষা করে, এছাড়া অভ্যাসের কার্যদি নিয়ন্ত্রণে করে এবং কোষ ও অঙ্গানগুলোকে ধারণ করে।
ওজন অনুযায়ী খাদ্য তালিকা
একজন মানুষের ওজনের উপর নির্ভর করে খাদ্যের চাহিদা ভিন্ন রোগ। একজন ব্যক্তির ওজন এবং তার শারীরিক পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে তার খাবারের চাহিদা থাকে ভিন্নরূপ। একজন 18 বছর বয়সী ব্যক্তি খাদ্যে যে রূপ চাহিদা রয়েছে ঠিক তেমনি একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির স্বরূপ খাদ্যের চাহিদা থাকবে না।
কারণ একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তিকে তার দৈনন্দিন কাজকর্মের উপর নির্ভর করে তার খাবারের চাহিদা ভিন্ন রকম হয়ে থাকেন। একজন ব্যক্তি যদি তার প্রয়োজনের চাইতে বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকে তাহলে তার মেয়েদের সমস্যা হয় অর্থাৎ তার ভুঁড়ি বেড়ে যায়। কিন্তু তার উচ্চতা এবং ওজন অনুযায়ী সে যদি তার খাদ্য গ্রহণ করে তাহলে তার শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
খাদ্য উপাদান কাকে বলে
খাদ্য অনেকগুলো রাসায়নিক বস্তুর সমন্বয়ে গঠিত এই রাসায়নিক বস্তুগুলোকে খাদ্যের উপাদান বলে। অধিকাংশ খাদ্য একাধিক খাদ্য উপাদান থাকে। যেমন রুটিতে শর্করা ও স্নেহ দুই প্রকারের খাদ্যের উপাদান বিদ্যমান। তাই এক এক খাদ্যে খাদ্য উপাদান একেক রকম থাকে। খাদ্যের উপাদানের উপর ভিত্তি করে খাদ্যকে প্রধানত তিনটা ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন আমিষ, শর্করা, স্নেহ।
আমিষ জাতীয় খাদ্যগুলো হল মাছ মাংস ডিম দুধ ডাল সিমের বিচি শুটকি মাছ চিনা বাদাম ইত্যাদি। স্নেহ জাতীয় খাদ্যগুলো হল সয়াবিন সরিষা তিল বাদাম ভুট্টা তেল চর্বি ঘি ডালটা ডিমের কুসুম ইত্যাদি। সরকারের জাতীয় খাদ্যগুলো হল ফলের রস গ্লুকোজ গম আলু চাল ইত্যাদি।
সুষম খাদ্যের ৬ টি উপাদান
আমাদের দেহ পরিপূর্ণ সুস্থ রাখার জন্য সুষম খাদ্যের উপাদান অপরিহার্য। দেহকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য এ সুষম খাদ্যের ভূমিকা অপরিসীম। সুষম খাদ্যের ছয়টি উপাদানের মধ্যে রয়েছেন শর্করা, স্নেহ, আমিষ, ভিটামিন, খনিজ লবণ, ও পানি যা প্রত্যেকটি উপাদান আমাদের দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সুষম খাদ্যের বৈশিষ্ট্য
সুষম খাদ্যের বৈশিষ্ট্য গুলো হচ্ছেঃ
- একজন মানুষের বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির উপাদান সমার্থক থাকতে হবে।
- শর্করা আমেজ এবং চর্বি নির্দিষ্ট অনুপাতে পরিমাণমতো গ্রহণ করতে হবে।
- খাদ্যের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও রাফেজ বা সেলুলোজ সরবরাহ জন্য সুষম খাদ্য তালিকা থাকতে হবে।
- খাদ্যে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি ও খনিজ লবণ থাকতে হবে
- সুষম খাদ্য অবশ্যই সহজ-পাচ্য হতে হবে।
লেখক এর মতামত
আজ আমি আপনাদের সামনে খাদ্য সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেছি। খাদ্যের বিভিন্ন গুনাগুন খাদ্য খেলে কি কি উপকার হয় খাদ্য আমাদের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ সবগুলো বিষয় উপস্থাপন করেছি। আমরা জানি এটা খাদ্য আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই আমাদের সঠিকভাবে খাদ্য গ্রহণ করা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে একটি কমেন্ট এবং শেয়ার করে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url