বাংলাদেশে ফুটবল খেলার ইতিহাস সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন
বাংলাদেশের ফুটবল খেলার ইতিহাস সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না। আজকের এই আর্টিকেলের মূল কথা হচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবল খেলার ইতিহাস সম্পর্কে। আপনারা যদি এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
প্রিয় পাঠক বা দর্শক এছাড়াও রয়েছে ফুটবলের ইতিহাস, ফুটবলের জনক, ফুটবল খেলার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে।
ভূমিকা
ফুটবল হচ্ছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। এ খেলা প্রথম শুরু হয় চীনে। বাংলাদেশের এ খেলার ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। শহর গ্রাম অঞ্চল প্রায় সবখানে দেখা যায় এ ফুটবল খেলা । তাই আমার প্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল।
ফুটবল মাঠের বর্ণনা
ফুটবল মাঠ টি একটি সমতল মাঠ । মাঠের চারদিকে সীমানা রেখা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়ে থাকে দুটি বিপরীত প্রান্তে দুটি গোল পোস্ট থাকবে একটি আদর্শ মাঠের দৈর্ঘ্য ১২০ হাত এবং প্রস্থ 80 হাত হয় গোল পোস্টটির সাথে নেট দেওয়া থাকে এবং মাঠের চার কোনায় চারটি পতাকা কোথা থাকে।
খেলার বিবরণ
একটি বল মাঠের মাঝখানে স্থাপন করা হয় দুই দলের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয় প্রত্যেক দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে গোলপোস্ট পাহারা থাকে একজন করে গোলরক্ষক খেলা চলাকালীন দুই গোলরক্ষক নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে হাত দিয়ে বল ধরতে পারে মাঝে ১০ মিনিট বিরোধী ছাড়া ৪৫ মিনিট করে মোট ৯০ মিনিট খেলা হয় সময় শেষে যে দল গোলের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকে তাকে বিজয় ধরা হয়।
ফুটবল খেলার নিয়ম
প্রত্যেক খেলার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে ঠিক তেমনি ফুটবল খেলার ও কিছু নিয়মকানও আছে। ফুটবল খেলার নিয়ম কারণগুলো হলোঃ
- এইটা লাইভ দুইটা পক্ষ থাকে। এবং প্রত্যেকটা পক্ষে সর্বোচ্চ ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে।
- ফুটবল খেলায় ১১ জন খেলোয়ারের মধ্যে একজন করে গোলকিপার বা গোলরক্ষক থাকে।
- কোন কারণবশত যদি কোন একটা দলে সাতজনে কম খেলোয়াড় থাকে তাহলে ওই খেলাটি আরম্ভ করা সম্ভব হয় না।
- ফুটবল খেলা চলাকালীন যদি কোন দল থেকে খেলোয়াড় মাঠ ত্যাগ করে তাহলে যদি রেফারি দেখে ওই দলে সাত জনের কম খেলোয়ার আছে তাহলে রেফারী খেলাটি বন্ধ করতে পারবে।
- ফুটবল খেলায় প্রত্যেকটি দলের খেলোয়াড়দের নামে তালিকা দিতে হবে এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন খেলোয়াড়ের নামও দিতে হবে।
- আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলায় খেলোয়াড়ের পরিবর্তন হিসেবে 12 জনকে রাখা হয়।
- ফুটবল খেলায় সর্বোচ্চ তিন জনকে পরিবর্তন করা যায়।
- ফুটবল খেলা যিনি পরিচালনা করেন তিনি হচ্ছেন রেফারেল রেফারির কাছে থাকেন হুইসেল লাল কার্ড হলুদ কার্ড ঘড়ি নোটবুক সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
- খেলা পরিচালনা করার জন্য মেইন রেফারি ছাড়াও আরো রেফারি থাকে যখন সরকারি রেফারি ফোর্থ অফিসিয়াল রেফারি অতিরিক্ত সহকারে রেফারি।
- খেলা শুরু হওয়ার আগে সর্বপ্রথম টর্চ করতে হয় যে দলটা চেয়ে জয় লাভ করে সে সর্বপ্রথম বল কি করে।
- খেলা শুরু হওয়ার আগে ফুটবল মাঠের কেন্দ্রে রাখতে হয়। রেফারি সংকেত দেওয়ার সাথে সাথে যে দল টঁচে জয় লাভ করে সেই প্রথমে ফুটবল কি করে তার দলের খেলোয়াড়দের সাথে।
উপরোক্ত নিয়মগুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু নিয়ম কারণ আছে সেগুলো জানা প্রত্যেকেরই উচিত। আর নিয়ম কারণ জেনে ফুটবল খেলা দেখলে ফুটবল খেলা দেখতে অনেকটাই ভালো লাগে।
ফুটবলের জন্মদাতা
ফুটবল খেলার জন্ম কোথায় হয়েছে এ নিয়ে বেশ কিছু মতভেদ রয়েছে। অনেকে মনে করেন যে এটি চীনে বা মধ্যপ্রাচ্যের যে কোন দেশে সর্বপ্রথম ফুটবল খেলার জন্ম হয়েছে। এই খেলাটি মূলত মিশর পারস্য ব্রিজ ব্যাবিলন ইত্যাদি দেশে ফুটবল খেলা সর্বপ্রথম প্রচলন শুরু হয়। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে অনেকেই বলে ফুটবল খেলা সর্বপ্রথম প্রচলন শুরু হয় ইংল্যান্ডে।
হ্যাঁ সেটাও ঠিক কারণ ফুটবল খেলার অনেক নিয়ম কানুন ইংল্যান্ড থেকেই এসেছে। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা হয় সর্বপ্রথমফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয় চীনে। তবে পর্যায়ক্রমে এটি অনুষ্ঠিত হয় ইংল্যান্ডে। তবে ফুটবলের ইতিহাস ঘাটলে বুঝা যায় সর্বপ্রথম ফুটবল খেলা শুরু হয়েছিল ৩৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রাচীন ইতিহাস রোমান সভ্যতায় এবং গ্রিক সভ্যতায় মানুষ বসবাস শুরু করে। সে থেকে আমরা এ ফুটবল খেলা দেখতে পাই।
ফুটবলের রাজা কে
ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলে কে ফুটবলের রাজা বলা হয়। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ছিলেন একজন পেশাদার ফুটবলার। তিনি মারাত্মক আক্রমণাত্মক খেলাধুলা করতেন তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ফুটবলের সম্মানও অর্জন করেন। ব্রাজিলে হয়ে তিনি মোট চারটি বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে তিনি তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ী এবং সবোর্চ্চ গোলদাতা হিসেকব আখ্যায়িত হন।
বাংলাদেশে ফুটবল খেলার ইতিহাস
ফুটবল খেলা বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি খেলা। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে ফুটবল খেলা লালন করে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে 1971 সালে। স্বাধীনতা অর্জনে পর 1972 সালে ১৫ জুলাই বাংলাদেশের ফুটবল খেলার জন্য একটি ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা করেন। সেই প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৭৩ সালে ২৬ শে জুলাই সর্বপ্রথম থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ সেখানে ওই ম্যাচটি ড্র হয় দুই দুই গোলে।
বাংলাদেশ ফুটবল খেলার জন্য ফিফার সদস্য লাভ করেন ১৯৭৪ সালে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আন্তর্জাতিকভাবে খেলায় অংশগ্রহণ করেন 1886 সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত।এরপর থেকে ১৯৯০ সালে আগেই ফুটবল লিগ এর প্রতি জোর দেওয়া হয়। সেখান থেকে ঘরোয়া খেলা বিদেশে বিভিন্ন ক্লাবে খেলা শুরু হয়।
১৯৯০ সালে বিকেএসপি তে প্রথম রানার্সআপ হয়েছিল। ২০০৩ সালে এশিয়া ফুটবল ফেডারেশনে বাংলাদেশ জয় লাভ করেন 50000 দর্শককে উপস্থিতিতে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে। তারই জয় ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ভারতকে ২-১ গোলে পরাজিত করে। বাংলাদেশের সবচেয়ে কিংবদন্তি খেলোয়াড় হচ্ছে কাজী সালাউদ্দিন তিনি হচ্ছেন একজন পেশাদার খেলোয়াড় হংকং।
তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশে কিংবদন্তি খেলোয়াড়। ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের বাংলাদেশের অবস্থান 192 তম। 6 সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ান মধ্যে প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় স্টেডিয়াম বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। যা বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি স্মরণীয় ফুটবল খেলা।
ফুটবল খেলার জন্ম কত সালে
ফুটবল খেলার জন্ম সঠিকভাবে বলা খুব মুশকিল। তবে অনেকের মতে সর্বপ্রথম ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয় চীনে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৩ সালে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডের ফুটবল খেলা আবিষ্কার করা হয়। ইংল্যান্ডে ফুটবল খেলা আবিষ্কারের প্রথম কারণ ফুটবলে বিভিন্ন নিয়ম কারণ সবকিছুই ইংল্যান্ড থেকেই এসেছে। অনেকে ধারণা করেন ১৯০৪ সালে একুশে মে সর্বপ্রথম ফ্রান্সের প্যারিসে ফুটবল আবিষ্কার করা হয়। কিন্তু এটা সত্য যে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডের ফুটবল খেলা আবিষ্কার করা হয় 1963 সালে।
ফুটবল খেলার জনক কে
ফুটবল খেলার জনক বলা হয় ইংল্যান্ডকে। তবে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন লোক ফুটবল খেলা আবিষ্কার করে থাকেন। যেমন ভারতের ফুটবল খেলার জনক বলা হয় নগেন্দ্রপ্রসাদকে। নগেন্দ্র প্রসাদ ১০ বছর বয়স থেকে ফুটবল খেলা শুরু করেন। শুধু তিনি ফুটবলের প্রতি দক্ষ না, বিভিন্ন খেলা হকি ক্রিকেট বিভিন্ন খেলায় তিনি ছিলেন দক্ষ। 1877 খ্রিস্টাব্দের বড়শূন্য ময়দানে তিনি ফুটবল খেলা শুরু করেন। তার প্রচেষ্টায় তিনি গড়ে তোলেন একটি ক্লাব। তিনি অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছেন ১৮৭৭ থেকে ১৯০২ সাল পর্যন্ত প্রায় তিনি ৭০০ও বেশি ম্যাচ খেলেছেন।
ফুটবল অনুচ্ছেদ
ফুটবল খেলা হচ্ছে একটি জনপ্রিয় খেলা। ফুটবল খেলার প্রচলন শুরু হয় সারা বিশ্বব্যাপী জুড়ে।এই খেলা অনুষ্ঠিত হয় সামরিক অনুশীলনের মাধ্যমে। ফুটবল খেলার বিকল্প আজও কোন খেলা নেই। ফুটবল খেলায় একাধিক শারীরিক দক্ষতা ও সক্ষমতা গড়ে তোলে । প্রতিটি খেলায় খেলোয়াড়দের খুব সতর্কতার সাথে খেলতে হয়।
কারণ যে কোন মুহূর্তে খেলোয়াড়দের মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। প্রত্যেকটা দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে অর্থাৎ খেলার মাঠে মোট খেলোয়াড় থাকে 22 জন তার মধ্যে একজন করে দুইটি গোলকিপার দুই পক্ষের থাকে। খেলা পরিচালনা করে রেফারি। আর সেই রেফারিকে সহযোগিতা করে অন্যান্য রেফারিগুলো।
একজন রেফারির কাছে খেলার সকল ক্ষমতা থাকে। প্রত্যেক দলে ৭ জনের চেয়ে কম খেলোয়াড় থাকলে রেপারি খেলা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে। প্রত্যেকটি খেলোয়াড়ের সহযোগিতায় একটি দল জয়লাভ করেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট হচ্ছে ফিফা। সারা বিশ্বব্যাপী দেশগুলো এই খেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে। ফুটবলের মাধ্যমে একটি দেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরা যায়।
লেখকের মতামত
আমি আপনাদের সামনে ফুটবল খেলার সকল নিয়ম কানুন ইতিহাস সম্পর্কে তুলে ধরেছি। আমরা জানি ফুটবল মানুষের কাছে একটি জনপ্রিয় খেলা। তাই প্রত্যেকটি খেলা দেখার আগে খেলার ইতিহাস ওই খেলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে প্রত্যেকেরই জানা উচিত। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ফুটবল খেলার যাবতীয় নিয়ম কানুন সহ সকল কিছু তুলে ধরেছি। আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট বক্সে কমেন্ট ও শেয়ার করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url