প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত এ সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন
প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত জেনে আমলকি খাবেন। যদি আপনারা নিয়মিত আমলকি খেয়ে থাকেন তাহলে এই বিষয়টি জানা আপনাদের অবশ্যই প্রয়োজন । তাই আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত এ সর্ম্পকে বিস্তারিত জানাবো।
প্রিয় পাঠক এখানে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি তার মধ্যে হলো চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা সহ আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে সেগুলো বিস্তারিত জানতে হলে সর্ম্পূণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
আমলকির উপকারিতা অনেক। আমলকি ত্বকে মসৃণ ও উচ্চরক্ত চাপ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে আমলকি কাজ করে। আমলকিতে রয়েছে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন মতো গুরুত্ব পূর্ণ কিছু পুষ্টি উপাদান।
খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে আমলকি খেলে আমলকির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ঠ্যগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাবারের বদহহজম থেকে শুরু করে , ত্বকে মসৃণ ও উচ্চরক্ত চাপ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। খালি পেটে আমলকি খেলে টক্সিনকে আরোও দক্ষভাবে প্রতিরোধ করবে। আমলকির উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সামগ্রী ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলের প্রভাব দূর করে।
আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে।দেহের স্বস্তির ক্ষেত্রে আমলকির গুঁড়ো অল্প পরিমাণে এবং তার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এমনকি খালি পেটে আমলকি খেলে কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
আমলকির রস প্রতিদিন খাওয়া প্রয়োজন। আমলকি শুরু স্বাস্থের যত্ন নেই না, চুলপড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, নতুন চুল গজানো, কিডনির সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই না আমলকিতে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িত ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে কাযকারী ভূমিকা পালন করে।
তাই আমাদের প্রতিদিন আমলকি খাওয়া দরকার। চিকিৎসাবিদরা গবেষণা করে দেখেছেন আমলকি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। নিয়মিত আমলকি খাওয়ার ফলে চোখের ছানিসহ চোখ ফোলাভাব দূর করে। আমলকিতে থাকে ফাইবার এবং ট্যানিক এসিড যা কোষ্টকাঠিন্য সহ দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত
আমাদের প্রতিদিন ১-২ টি করে আমলকি খাওয়া উচিত। ১-২টার বেশি আমলকি খাওয়া উচিত নয়। কারণ আমলকি যেহেতু টক সুতরাং আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘‘সি” আছে। ভিটামিন ‘‘সি” এর রাসায়নিক নাম অ্যাসকরবিক এসিড(C6H8O6)।
চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা
চুলের বৃদ্ধিতে আমলকির ভূমিকা অপরিহায। আমলকিতে উপস্থিত ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ভিটামিন মাথার ত্বকের সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে চুল পড়া বন্ধ থেকে শুরু করে চুল গজানো, চুল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। খুশকি রোধে আমলকির ভূমিকা অপরিসীম। আমলকির রস ত্বক ও চুলের জন্য কাযর্করী।এটি চুলের শিকড়কে শক্তিশালী করে। আমলকির তেল সাদা চুলের সমস্যা সমাধানে ব্যবহারে করা হয়।আমলকির রস চুলকে ঘন করে।
আমলকি দিয়ে কিভাবে তেল তৈরি করা করব?
আমরা খুব সহজে আমলকি থেকে তেল বানাতে পারব। প্রথমে আমলকি গুলো পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এর পর আমলকিগুলো ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। তারপর কড়ইয়ে আমলকি গুলোকে ঢেলে দিতে হবে এবং সেখানে ৫০ গ্রাম বা ১০০ গ্রাম নারিকেলের তেল দিতে হবে। ১৫-২০ মিনিট তাপ দিতে হবে।
লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কড়ুইয়ে লেগে না যায়। এরপর ছাকুনি দিয়ে ছেকে নিতে হবে। এভাবে খুব সহজে আমলকি থেকে তেল তৈরি করা যায়। আর এই তেল চুলের জন্য খুবই উপকারি।
আমলকি তেল কিভাবে চুলে ব্যবহার করব
সর্বপ্রথম আমলকির ফল থেকে তেল করে মাথায় চুলের গোড়া থেকে শুরু করে ভালো ভাবে মাখাতে হবে। যেন প্রতিটি চুলের কোণায় ভালোভাবে লেগে যায়। আর আমলকির তেল চুলের ফলিকলকে শক্ত করতে সহায়তা করে।আমলকিতে রয়েছে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন মতো গুরুত্ব পূর্ণ কিছু পুষ্টি উপাদান।
এই ধরনের পুষ্টি উপাদান স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সক্ষম। আর সে কারণে চুলকে মজবুত রাখে হলে আমলকির গুরুত্ব অপরিসীম। আমলকিতে থাকে ৮১.৩ শতাংশ ময়েশ্চার চুলকে সুন্দর করে। আর এজন্য রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের জন্য আমলকি কাযর্করী।
লেখকের মন্তব্য
আমলকির উপকারি সর্ম্পকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কারণ আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান।আমলকি আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সুতরাং আমাদের প্রতিদিন আমলকি খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। আমরা যদি সঠিক নিয়মে আমলকি না খায় তাহলে এই পুষ্টি উপাদান গুলো পাওয়া যাবে না।
আশা করি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে বিস্তারিতভাবে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সর্ম্পকে জানতে পেরেছেন। এই ধরণের বিষয় সর্ম্পকে নিয়মিত জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করে সাথে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url