মাশরুমের এর উপকারিতা ও অপকারিতা সর্ম্পকে বিস্তারিত পড়ুন

মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন। চিন্তার কোন কারণ নেই আজ এই আর্কেল টি মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মাশরুম সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রিয় পাঠক আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে মাসরুমে কি এলার্জি আছে সহ আরো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সবগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

ভূমিকা

বাংলাদেশের রয়েছে মাশরুম চাষ , মাশরুমের গবেষণা সেন্টার , মাশরুম রান্নার রেসিপি ,মাশরুমের উপকারিতা স্ট্র মাশরুম। আপনারা কি জানেন ? বিশ্বের যত স্বাস্থ্যকর খাবার আছে তার মধ্যে মাশরুম হচ্ছে অন্যতম । কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে মাশরুমে কত উপকার রয়েছে । গ্রামের মানুষ অনেকেই মনে করে এটি একটি ব্যাঙের ছাতা মনে করে।

 কিন্তু মাশরুমের পুষ্টিমান ও ওষুধের গুনাগুন অনেক । অনেকেই একে রান্না করে সবজি হিসেবে খেয়ে থাকে । আল কুরআন ও হাদিসের ভাষায় ‘‘মাসরুমকে একটি স্বর্গ খাবারের হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে ।” সেই কারণে অনেক কঠিন রোগ নিরাময় এক আশ্চর্য নিরাময়ক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

মাশরুম চাষের ইতিহাস

চীন, জাপান ,ভিয়েতনাম, কানাডা সহ বহু দেশের মানুষ মাশরুম আদিকাল থেকেই খেয়ে আসে। প্রাচীন বেদে ও মাশরুমের কথা উল্লেখ আছে । তখনকার মানুষের ভগবানের অনুগ্রহ লাভের জন্য এ মাশরুম খেত শুমারিয় ইহুদি আর প্রথমদিকে ক্রিশ্চিয়ান ধর্ম অনুসারীরা এটাকে ভগবানের পুজোর মূল উপাচার হিসেবে ব্যবহার করত। পৃথিবীর প্রায় অর্ধেকও বেশি চীনে মাশরুম চাষ করা হয়। আমাদের দেশের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে মাশরুমে চাষ দেখা যায় বিশেষ করে পাহাড়ের লোকেরা এ মাশরুম খেয়ে থাকেন ।বর্তমানে বেশ কিছুদিন থেকে বাংলাদেশে মাশরুম চাষ করে আসছে এবং একে সবজি হিসাবে অনেকেই খেয়ে থাকেন । তবে জানা গেছে 1976 সালে কৃষি উপদেষ্টা মরহুম আজিজুল হক থাইল্যান্ড থেকে সর্বপ্রথম স্ট্র মাশরুম দেশে নিয়ে আসেন। রাজধানী অনেক নার্সারি গুলোতে মাশরুমে বীজ মাশরুম চাষ শুরু করে মাশরুম চাষে বেশ উদ্যোগী হয়ে উঠেছে ।তাই জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

মাশরুম কি

মাশরুম আসলে একটি ছত্রাক জাতীয়। এই ছত্রাক মাংস স্পোর ধারক এবং সাধারণত এরা মাটি বা বিভিন্ন খাবারের উপর জন্মে থাকে। এ্যাগারিকেলস শ্রেণীর এ্যাগারিকাস বর্গের ছত্রাক। আমরা মাঠে ময়দানে যে ব্যাঙের ছাতা দেখি সেটাই হচ্ছে মাশরুম । মাশরুমের মধ্যে থাকে এক অংশ আর এই টুপির নিচের দিকে থাকে গিলস আর স্পোরস।

মাশরুমের উপকারিতা

  • নিয়মিত মাশরুম খেলে এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য এটি খুবই উপকারী।
  • মাশরুমে চর্বি ও শর্করা কম এবং আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এটি খুবই উপকারী।
  • মাশরুমে থাকে ক্যালসিয়াম ফসফরাস ও ভিটামিন ডি যা শিশুর দাঁত ও হাড়ের জন্য ভূমিকা রাখে।
  • মাশরুমে আছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড ও লৌহ যা রক্তশূন্যতা দূর করে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • মাশরুমে ট্রাইটারপিন থাকায় এটি এইডস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • মাশরুমে আছে ইলুডিন এম ও এস থাকায় আমশায় রোগী জন্য খুবই উপকারী।
  • মাশরুমে এডিনোসিন থাকায় ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে স্বয় ভূমিকা রাখে।
  • মাশরুমে আছে নিউক্লিক এসিড ও অ্যানটি- এলাজেন্ট যা কিডনি রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আয়রন পটাশিয়াম ও সেলিনিয়াম সেলিনিয়াম উপাদানটি খুবই মাছেই পাওয়া যায়। যারা পুরোপুরি নিরামিষ ভোজী তারা মাশরুমের মাধ্যমে এর উপকারিতা পেতে পারেন।
  • মাশরুমে আরও আছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও ব্যাকটেরিয়া দমন করে।
  • মাশরুম যৌনশক্তি বৃদ্ধি, মেদভুড়ি কমানোর ক্ষেত্রে, এলার্জি রোগের মহা ঔষধ, অশ্ব রোগ প্রতিরোধক এবং রূপচর্চার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মাশরুমের অপকারিতা

  • মাশরুমের অনেক উপকারিতা থাকলেও এর অপকারিতা সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।
  • বুনো মাশরুম মানুষ ও প্রাণীর জন্য খুবই ক্ষতিকর
  • যে সকল মাশরুমগুলো কাঠ, খড় ,বিভিন্ন পচা জায়গায় জন্মে সে সকল মাশরুম গুলো খাওয়া উচিত নয়।
  • যে সকল মাশরুমগুলো রঙিন প্রকৃতি সেগুলো খাওয়া উচিত নয় অর্থাৎ যে সকল মাশরুম গুলো রুদ্র সহ্য করতে পারে না সেগুলো খুবই বিষাক্ত মাশরুম তাই এ ধরনের মাশরুমগুলো খাওয়া মোটেই উচিত

মাশরুমে কি এলার্জি আছে?

আমাদের দেশের মানুষের একটা সাধারণ সমস্যা হচ্ছে এলার্জি । অনেকেই এ সমস্যায় ভুগে। এলার্জি এমন এক ধরনের রোগ যা মানুষের শরীর চুলকায় ত্বকে এক ধরনের ক্ষত সৃষ্টি হয়ে যায় অনেকেরই আবার চোখ ফুলে যায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য মাশরুম খুবই উপকারী। সুতরাং নিঃসন্দেহ বলা যায় যে এলার্জির জন্য মাত্র মহা ঔষধ।

মাশরুম পাউডার খাওয়ার উপকারিতা

মাশরুম পাউডার আমাদের জন্য খুবই উপকারী কারণ মাশরুমে রয়েছে প্রতি একশ গ্রামে ২৬ থেকে ৩৪ ভাগ উন্নত মানের আমিষ 10 থেকে 15 ভাগ ভিটামিন 40 থেকে 48 ভাগ শর্করা যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। 
যাদের শরীরে কোলেস্টেরল রয়েছে তাদের জন্য মাশরুমের পাউডার খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ হৃদর ক্যান্সার জন্ডিস এলার্জি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের নিয়ন্ত্রনে মাশরুমের পাউডার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মাশরুম এর দাম

মাশরুম যেহেতু মানুষের অনেক উপকার করে। সুতরাং মাশরুমের দাম ও অনেক প্রতি কেজি মাশরুমের মূল্য ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা মূল্য বিক্রি করা হয় । তবে এক এক মাশরুমের মূল্য এক এক রকম যদি সেটা ওয়েস্টার মাশরুম হয় তবে সেটা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি।তাজা মাশরুমের মূল্য প্রায় সাড়ে ৬০০ টাকা কেজি।

লেখক এর মন্তব্য

মাশরুম সম্পর্কে বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারিতা বা মাশরুম খেলে কি হয় অনেক তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আপনারা যদি এ আর্টিকেলটি পড়ে কোনভাবে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট ও শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url