ভিটামিন সি জাতীয় ১০টি খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

 ভিটামিন সি জাতীয় খাবার সম্পর্কে আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন না। চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের এই আর্টিকেলটি ভিটামিন সি সম্পর্কে। আপনারা যদি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

প্রিয় দর্শক বা পাঠক আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করেছি ভিটামিন সি জাতীয় ফলসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে। সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ভূমিকা

ভিটামিন সি এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা মানব শরীরের জন্য খুবই জরুরী। কারণ রক্ত চলাচল থেকে শুরু করে শিরা ও ধমনী কর্মক্ষমতা বজায় রাখা কোষ গঠন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি। সব কিছুতে ভিটামিন সি এর উপস্থিতি অপরিহার্য। ভিটামিন সি অত্যন্ত উচ্চমানের এন্টি অক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন দূষণ থেকে রক্ষা করে নানা ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।

মোটকথা আমাদের শরীরের চালিকাশক্তি বজায় রাখার জন্য ভিটামিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ভিটামিন সি এর প্রাক্তাহিক চাহিদা হল ৬০ মিলিগ্রাম কিন্তু জানেন কি সর্বোচ্চ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ প্রথম দশটি খাবারের মধ্যে লেবুর স্থান নেই এটা সত্য অবাক হচ্ছেন নিশ্চয় আরও অনেক বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার আমাদের এড়িয়ে যায় আসুন আজ আমরা ভিটামিন সি যুক্ত দশটি খাবারের কথা জেনে নিন।

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার

আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি । কিন্তু আমরা মনে করি যে ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস হচ্ছে টক জাতীয় ফল লেবু। কিন্তু তা না কাঁচা মরিচ, পেয়ারা, পেঁপে বিভিন্ন ধরনের ফলে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ফলমূল এর যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। বিশেষ করে শীত কালীন সবজি হিসেবে ফুলকপির মধ্য ভিটামিন সি রয়েছে।

ভিটামিন সি জাতীয় ফল

ভিটামিন সি জাতীয় কিছু ফল নিয়ে আলোচনা করা হলো
কাঁচা মরিচঃ সর্বোচ্চ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় প্রথমে রয়েছে আমাদের অতি চেনা কাঁচা মরিচ। কাঁচা মরিচ আমরা বিভিন্ন ধরনের সালাদ ,ভর্তার সাথে কাঁচামরিচ খেয়ে থাকি। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ এ মধ্য়ে২৪১.৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি । এরপরের রয়েছে লাল মরিচের স্থান প্রতি ১০০ গ্রাম লাল মরিচের রয়েছে ১৪৩.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

পেয়ারাঃ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পেয়ারা। পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারি। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারার মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে ২২৮ মিলিগ্রাম। তবে পেয়ারার জাত ভেদে এর ভিটামিনের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।

বেল মরিচঃ বেল মরিচ পাস্তা সস বা পিজ্জার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় । এটি মেক্সিকান মরিচ ।প্রতি একশ গ্রাম বেলে মরিচের রয়েছে ১৮৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

টাটকা ভেষজঃ বেশিরভাগ ভেষজ নানা পুষ্টি গুণে ভরপুর। সেটা তাজা হোক অথবা শুকনো। তবে তাজা থাইম ও পোর্সলেতে রয়েছে আর সব ভেষজ থেকে বেশি। ভিটামিন সি । প্রতি ১০০ গ্রাম থাইমে ভিটামিন সি রয়েছে ১৬১ মিলিগ্রাম। এবং প্রতি ১০০ গ্রাম পোর্সলেতে ভিটামিন সি রয়েছে ১৩২ মিলিগ্রাম।

গাঢ় সবুজ পাতা এবং শাকঃআমাদের খাবার হিসেবে আমরা যেসব কাঁচা পাতা খায় যেমন পুদিনা লেটুস পাতা। শাকের ভেতরে সরিষার শাকে সর্বোচ্চ ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম সরিষার শাকে ভিটামিন নিস রয়েছে ৮০ মিলিগ্রাম । আর সবুজ শাকে প্রচুর ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

ব্রকোলিঃ সবুজ টাটকা ব্রকোলি ভিটামিন সি এর আরেকটি অন্যতম উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রকোলিতে ভিটামিন সি রয়েছে ৯৮ মিলিগ্রাম।

কিউয়ি ফলঃ কিউয়ি ফল ভিটামিন সি এর আরেকটি উৎকৃষ্ট উৎস। প্রতি একশ গ্রাম কিউয়ি রয়েছে ৯৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

পেঁপেঃ আমাদের অতি পরিচিত ফল পেঁপে রয়েছে অষ্টম স্থানে। পেঁপে কে ভিটামিন এ এবংফোলেটের আধার হিসেবে প্রাধান্য দেওয়া হলেও এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। প্রতি একশ গ্রাম পেঁপেতে রয়েছে ৬০ গ্রাম ভিটামিন সি।

কমলাঃ কমলা টক ও মিষ্টি জাতীয় ফল। কমলায় প্রতি 100 গ্রামে ভিটামিন সি রয়েছে৬০ মিলিগ্রাম।

স্ট্রবেরিঃ চমৎকার স্বাদের ফল স্ট্রেবেরি। কেক, আইসক্রিম, ডেজার্ট পাশাপাশি বিভিন্নভাবে খাবারে স্ট্রেবেরি ফল ব্যবহার করায়।স্ট্রেবেরি ফলে প্রতি 100 গ্রামে ভিটামিন সি রয়েছে৬৩ মিলিগ্রাম।

ভিটামিন সি উপকারিতা

ভিটামিন সি আমাদের দেহের অনেক উপকার করে। দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ঠান্ডা নিয়ন্ত্রণ সহ ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক,স্ট্রোকের রোগের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে ভিটামিন সি এর গুরুত্ব অপরিসীম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও ত্বক ও দাঁতকে সুন্দর রাখে।
ভিটামিন সি মানব দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। ভিটামিন সি শরীরের পর্যাপ্ত আয়রন শোষণের সহায়তা করে। সাধারণত সর্দি কাশিতে এই ভিটামিন বেশ উপকারী। ভিটামিন সি হৃদরোগ ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । বয়স ভেদে চাহিদা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে তবে একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক 90 মিলিগ্রাম এবং নারীর ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এর মত পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল খাওয়া উচিত।

ক্যান্সার প্রতিরোধঃ ভিটামিন সি এ থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে কোষ কে বিভিন্ন ক্ষতি থেকে রক্ষা করেন । এমনকি ভিটামিন সি শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখে ফলে ক্যান্সার এর সাথে যুদ্ধ করে ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । বিজ্ঞানীদের মতে সরাসরি ক্যান্সারের কোষে আঘাত করে না ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

চোখ ভালো রাখেঃ ভিটামিন সি এর রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা চোখের রক্ত সঞ্চালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে চোখকে ভালো রাখে । চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির পায়।

ওজন কমাতেঃ পরিমাণ মতো ভিটামিন সি খেলে দেহ থেকে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ চর্বি কমে যায়। ফলে আমাদের দেহের ওজন কমতে থাকে। ভিটামিন সি এর রয়েছে অ্যামাইনো এসিড। যা চর্বি হওয়া জম করে শক্তিতে রূপান্তর করতে ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

ভিটামিন সি এর উৎস ও কাজ

ভিটামিন সি এর বিভিন্ন ধরনের উৎস রয়েছে । যেমন ফুলকপি, পেয়ারা, তেজপাতা, কিসমিশ ইত্যাদি।
ফুলকপির উপকারিতাঃ ফুলকপি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। যা রান্না করে বা সালাদের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন মিনারেল, এন্টিঅক্সিডেন্ট ফাইটকেমিক্যাল সহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান রয়েছে এই সবজিতে। 

ফুলকপি ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এমনকি হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে ফুলকপি বেশ সহায়ক কারণ এতে আছে সালফোরাফেন উপাদান যা রক্তচাপ কমায় এবং কিডনি ভালো রাখে। সুস্বাস্থ্যের জন্য ফুলকপি খুবই উপকারী একটি সবজি। দেহকে সুস্থ ও কর্মক্ষম করার জন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টি দরকার। 

নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের পুষ্টি চাহিদা বৃদ্ধি পায় । কারণ ফুলকপিতে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬ প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ। মস্তিষ্ক ভালো রাখতে ফুলকপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান । কারণ ফুল কপিতে আছে কলিন। কলিন মস্তিষ্কে কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এতে স্মৃতিশক্তি দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

পেয়ারাঃ আমরা খুব সহজেই এই জাতীয় ফল পেয়ে থাকি। কিন্তু এতে ভিটামিন সি এ ভরপুর রয়েছে। পেয়ারার পুষ্টি ও গুণের কথা বলে শেষ করা যায় না বিভিন্ন বিজ্ঞানী বা চিকিৎসক বলেছেন, পেয়ারা খুবই উপকারী একটি ফল। বেশিরভাগ মানুষ স্বাদ ও গন্ধের জন্য পছন্দ করে। 

পেয়ারা থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন সি যা স্কার্ভি রোগে জন্য খুবই উপকারী। কারণ এটা রয়েছে ক্যারোটিন ও নানা রকমের খনিজ। তাই আমাদের দেহের ভিটামিনের চাহিদা মেটানোর জন্য এ জাতীয় ফল প্রতিদিন খাওয়া উচিত।
পেয়ারায় নানা রকমের উপকার রয়েছে। যেমন,
  • পেয়ারা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে
  • ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
  • হজমে সাহায্য করে
  • এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে পেয়ারা
  • দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
  • রক্তচাপ কমাতে পেয়ারা খুবই উপকারী
কিসমিসঃ কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে ভিটামিন সি আমাদের সারাদিনের কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে কিসমিসে রয়েছে ফসফরাস ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম কপার জিংক লোগো ক্লোরাইড নিয়াসিন ভিটামিন বি৬, সি, কে ইত্যাদি। কিসমিস খাওয়ার সময় দাঁতে লেগে যায় ফলে ক্যাভিটি তৈরি করে যা মুখের ভেতর কে সুস্থ রাখে ।

রক্তের লৗহার পরিমাণ কমে গেলে দুর্বলতা বা হতাশায় ভুগলে কিসমিস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কারণ কিসমিসে প্রচুর পরিমাণ লৌহ থাকে যা রক্ত শূন্যতায় খুবই উপকারী।আজকাল অনেকেই অস্টিওপোরোসিস রোগে ভুগেন। হারের রোগ প্রতিরোধ করতে বোরন নামে খনিজ পদার্থের গুরুত্ব অপরিসীম। কিসমিসে বোরনের অন্যতম উৎস ।

বোরনে রয়েছে ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, যা হারের গঠনের পাশাপাশি হাড়কে শক্তিশালী রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিসমিসে থাকা বোরন মস্তিষ্কের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়, চোখের সঙ্গে হাড়ের সামঞ্জস্য বাড়ে স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে। কিসমিশে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ অর্থাৎ উচ্চমাত্রার সোডিয়াম শরীরের রক্তচাপ বাড়াই। কিসমিস শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

ভিটামিন সি এর অভাবে কি হয়

ভিটামিন সি এর অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। যেমন,
  • সর্দি বা ঠান্ডা থেকে নিউমোনিয়া আশঙ্কা থাকে
  • রিকেটস নামক রোগ হয়ে থাকে
  • শরীর দুর্বল এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি হয় ফলে স্টক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
  • ক্যান্সার রোগের বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা থাকে
  • দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়
  • ভিটামিন সি এর অভাবে অনেক সময় হার বেঁকে যায়
  • দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়
  • রক্তশূন্যতা বেড়ে যায়

লেখকের মন্তব্য

পরিশেষে এটাই বলতে চাই যে ভিটামিন সি আমাদের দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ভিটামিন সি জাতীয় খাবার আমরা খুব সহজেই পেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা জানি না যে কোন কোন খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ভিটামিন সি জাতীয় যত প্রকারের খাবার এবংঐ খাবারে কী কী উপকার রয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে।

যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্স এ কমেন্ট করে ধন্যবাদ জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url