আনারস খাওয়ার সঠিক সময় সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন

আনারস খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে ইচ্ছুক। আজকে এই আর্টিকেলের মূল কথা আনারস খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে। যদি আপনারা এ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

প্রিয় পাঠক আনারস কোন ঋতুতে হয় সহ আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করতে হবে।

আনারস হচ্ছে একটি গুচ্ছফল। আনারস রসালো ও সুস্বাদু একটি ফল। আনারসে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যেমন ভিটামিন এ বি সি যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। জ্বর ও জন্ডিস হলে আনারস অনেক উপকার করে কারণ এতে রয়েছে ক্যালোরি যা আমাদের দেহের প্রচুর পরিমাণে শক্তি যোগায়। আনারসের প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ও আজ থাকায় আমাদের দেহের কোলেস্টর ও চর্বি মুক্ত করে।

সকল ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তার মধ্যে আনারস হচ্ছে অন্যতম আনারসের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্য সমস্যা বিভিন্ন সমাধান পাওয়া যায় ত্বক ভালো রাখে দাঁত কে ভালো রাখে কষ্ট কাটে না দূর হয়। বিভিন্ন উপকার করে থাকে কারণ এখানে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম ফাইবার ও ভিটামিন সি আনারসের থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের ক্ষয় রোধ করেন বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের সমস্যা সমাধান করেন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি খেয়ে আনারস খাওয়া ভালো। তবে প্রচলিত একটা কথা আছে খালি পেটে জল আর ভরা পেটে ফল। ফল সব সময় ভরা পেটেই খেতে হয়। শারীরিক পরিশ্রমে করে যদি আনারস খান তাহলে সবচাইতে ভালো কারণ আনারসে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন আমাদের দেহের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করেন। আপনারা যদি নিয়মিত ব্যায়াম করে থাকেন তাহলে ব্যায়াম শুরু করার আগে ও পরে আনারস খাওয়া ভালো।

পুষ্টির অভাব পূরণ করেঃ আনারস একটি পুষ্টি ও গুনসম্পন্ন ফল। আনারসই রয়েছেন ভিটামিন এ বি সি ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেহের বিভিন্ন পুষ্টির অভাব পূরণ করতে আনারস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেনা।

দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষাঃ আনারসে রয়েছেন ক্যালসিয়াম যা আমাদের দাঁতের জন্য খুবই উপকারী নিয়মিত আনারস খেলে আমাদের দাঁতের জীবাণুগুলো ধ্বংস হয়ে যায় এবং মাড়ি ফুলা থেকে শুরু বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আনারস খুবই উপকারী

চোখের ক্ষেত্রেঃ চোখের ক্ষেত্রে আনারস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেনি। চোখের কোন সমস্যা হলে আনারসে থাকা ক্যারোটিন উপকার করে। প্রতিদিন আমরা আনারস খেলে চোখের সমস্যা ৪০ শতাংশ কমে যায় ফলে আমাদের চোখ সুস্থ থাকে।

হাড়ের ক্ষয় রোধ করেঃ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। আর এই ক্যালসিয়াম হাড়ের ক্ষয় রোধ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে । এছাড়াও আনারসে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হারকে আরো মজবুত করে তোলেন।

রক্ত সঞ্চালনঃ আনারস দেহের রক্ত সঞ্চালনের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখ। দেহের মধ্যে শিরা , ধমনির মধ্যে দিয়ে রক্ত সঞ্চালন করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরঃ বর্তমানে এটা মানুষের একটা প্রচলিত সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য। এই কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মানুষের বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দেই। এই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য আনারস খুবই উপকারী।

ওজন কমানোঃ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আনারস অনেক সাহায্য করে কারণ আমার কাছে থাকা ফ্লাওয়ার আমাদের দেহের ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখ।তাই প্রতিদিন যদি আনারসের সালাত বা আনারস জুস খাওয়া যায় তাহলে শরীরের ওজন অনেকটাই কমে যায়

আনারসের বেশ কিছু উপকারিতা থাকলেও এর অপকারিতা ও কম নয়। একটা কথা আছে অতিরিক্ত কোন জিনিসই ভালো নয়। যাদের এলার্জির সমস্যা তাদের জন্য আনারস একটি মারাত্মক ক্ষতিকর। কারণ আনারস খেলে শরীরের চুলকানি ফুসকুড়ি দেখা দেয়। ডায়াবেটিস রোগের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কারণ আনারসের থাকা মিষ্টি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই ক্ষতিকর। আনারস মহিলাদের ঋতুস্রাবের সমস্যা থাকলেও যেমন সমাধান করে ঠিক তেমনি অতিরিক্ত আনারস খাওয়ার ফলে গর্ব অবস্থায় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকেন।

যেহেতু আনারস একটি রসালো ফল এর ফলনও অনেক ভালো টাঙ্গাইল ও মধুপুরে আনারস ব্যাপক পরিমাণে উৎপাদন করা হয় ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষজন ব্যবসায়ীরা এখানে এসে আনারস কিনে নিয়ে যান। তবে বর্তমানে এখন প্রায় সব জায়গায় আনারস পাওয়া যায়। তবে আনারস চাষের ক্ষেত্রে দুইটি জেলা একটা হচ্ছে মধুপুর ও পঞ্চগড় চাষিরা খুচরা এবং পাইকারি আনারস বিক্রি করে থাকে ভোট থেকে রাত পর্যন্ত এর কার্যক্রম চলতে থাকে। ১৮ বছর সবচাইতে বড় হাট হচ্ছে জলছত্র যেখানে মানুষ সকাল থেকে রাত অব্দি বেচাকেনা করে। আনারসের চাহিদা সবচাইতে বেশি গরমের সময়।

আনারস খেলে কি ক্ষতি হয় এ কথাটি প্রায় সকলের মনের প্রশ্ন। কিন্তু আসলে আনারস আমাদের অনেক উপকার করে কারণ আনারসের থাকা ভিটামিন এ বি সি ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। দের হাড়ের ক্ষয় রোধ থেকে শুরু করে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান দাঁত মারি বিভিন্ন উপকারে আনারস করে থাকে। একটা কথা আছে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না যে পরিমাণে আনারস খাওয়া প্রয়োজন প্রতিদিন তার চেয়ে বেশি খেলে অবশ্যই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই নিয়মমাফিক আনারস খেলে কোন ক্ষতি হয় না।

আনারসের বেশ কয়েক ধরনের জাত রয়েছে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সারা বছরই আনারস পাওয়া যায়। গ্রীষ্ম ঋতুতে আনারসসবচাইতে বেশি পাওয়া যায়। অর্থাৎ জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি সময়ে আনারস পাকে।

এখন বর্তমানে প্রায় বাংলাদেশের অনেক পাহাড়ে অঞ্চলে আনারস চাষ করা হয় তবে বিশেষ করে রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি বান্দরবান ও বিভিন্ন পাহাড়ে অঞ্চলে আনারসের ব্যাপক চাষ করা হচ্ছে সিলেট মৌলভীবাজার টাঙ্গাইল কুমিল্লা নরসিংদী জেলায় প্রচুর পরিমাণে আনারস চাষ করা হয়। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী এখন প্রায় সব জায়গায় আনারস চাষ করা হয় তবে দেখা গিয়েছে পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে বেশি আনারসের চাষ রয়েছে।

আপনাদের সামনে আনারসের বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারিতা আনারস কোথায় চাষ করা হয় বিভিন্ন বিষয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আশা করি এ আনারস সম্পর্কে আপনারাও অনেক কিছুই জানতে পারবেন। যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগে বা আপনারা উপকৃত তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে একটি কমেন্ট বা শেয়ার করে দেবেন ধন্যবাদ।

=